বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এত ভয়, এত কাঁপাকাঁপি
মাহমুদউল্লাহ
ব্যাটিং করতে নেমেছেন চেস্ট গার্ড পরে, সেটি নিয়ে এক ধারাভাষ্যকারের
প্রশ্ন, ‘ফাস্ট বোলারদের খেলতে স্বচ্ছন্দবোধ করে না বলে সাধারণত টেল এন্ডার
ব্যাটসম্যানদের দেখি পাঁজরে গার্ড পরতে। একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কেন
চেস্ট গার্ড পরে খেলছে?’ পাশ থেকে সুনীল গাভাস্কার বললেন, ‘চেস্ট গার্ড
যেকোনো ব্যাটসম্যানই পরতে পারে। কিন্তু আত্মবিশ্বাস এত নিচুতে কেন?
মাহমুদউল্লাহ তো ভালো ব্যাটসম্যান।’
প্রশ্নটা সেটাই। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দেখা গেছে ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’, ইন্দোর টেস্টে সেই তাঁদের কেন থর হরি কম্পমান দশা! অথচ টস জিতে কী ইতিবাচক আর সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। উইকেটে ঘাস আছে, হালকা আর্দ্র কন্ডিশনে প্রতিপক্ষ দলে দুর্দান্ত তিন ফাস্ট বোলার প্রথম দিনের সকালটা দুর্বিষহ করে তুলতে পারেন—সব জেনেও মুমিনুল ব্যাটিং নিয়েছেন। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘আমরা বোলিংই নিতে চেয়েছিলাম। তবে কঠিন কন্ডিশনে আমাদের ব্যাটিং করতে আপত্তি নেই।’
একাদশে সাত ব্যাটসম্যান নেওয়ার অর্থই বাংলাদেশের লক্ষ্য টেস্ট ড্র করা। অবশ্য ইন্দোর টেস্টের প্রথম দুই সেশনে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের যে ‘অ্যাপ্রোচ’ দেখা গেছে, তাতে ড্র ঠিক নয়, কোনোভাবে ম্যাচটা পাঁচ দিনে নিয়ে যাওয়াটাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। এখনো পর্যন্ত যতটুকু ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, তাতে পাঁচ দিন কেন এ টেস্ট চতুর্থ দিনেও যায় কিনা ঘোর সংশয়।
বাংলাদেশের একজন ব্যাটসম্যানকেও মনে হয়নি স্বচ্ছন্দে এগোতে পারছেন। অজিঙ্কা রাহানে আর বিরাট কোহলির মতো দুর্দান্ত দুই ফিল্ডারের হাত গলে চারটি ক্যাচ হাতছাড়া না হলে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ পার হয় না! একটা দলের বাজে দিন যেতেই পারে। তাই বলে শুরু থেকে সবার এক সঙ্গে কাঁপাকাঁপি! টেস্টে ভারতের পেস আক্রমণ এ মুহূর্তে বিশ্ব অন্যতম সেরা। তার ওপর আবার পছন্দের কন্ডিশন। বলেও মুভমেন্ট আছে। ধারাবাহিকভাবে ‘স্পট’ ডেলিভারি করছেন তাঁরা। লাল মাটিতে তৈরি শক্তি পিচে বল উঠছে। তাই বলে তাঁদের একেবারেই খেলা যাবে না? মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদবদের পড়াশোনা না করেই কি খেলতে নেমেছেন মুমিনুলরা? তাঁদের কীভাবে খেলতে হবে, সেটি তাঁদের অজানা? তবুও কেন এভাবে ঘাবড়ে যাওয়া!
ওপেনার ইমরুল কায়েসের পা চলছে না। বল খুব কাছে আসার পর ব্যাট চালাচ্ছেন। মোহাম্মদ মিঠুন বলের লাইন বুঝতে পারছেন না। এ কঠিন পরিস্থিতিতে মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হক বিপর্যয় সামলে কোনোভাবে এগিয়ে চললেন। কিন্তু সে চলাটাও হলো অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। মুশফিক পরিষ্কার সুযোগ পেলেন দুবার। তবুও ইনিংসটা ৪৩ রানের বেশি এগিয়ে নিতে পারলেন না। স্লিপে রাহানের হাতে মুমিনুল বেঁচে করতে পারলেন ৩৭ রান। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে তোলা ৬৮ রান বাংলাদেশের হতশ্রী ইনিংসের সামান্য উজ্জ্বল দিক। মাহমুদউল্লাহ রাহানের হাতে ‘জীবন’ পেয়ে এগোতে পারলেন না খুব বেশি দূর। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দৃষ্টিকটুভাবে সুইপ করতে গিয়ে আউট ১০ রানে।
ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ আগেও টেস্ট খেলেছে। ২০১৭ সালের হায়দরাবাদ টেস্টে এ বাংলাদেশকে দেখা যায়নি। ভারতের রানপাহাড়ের ভালো জবাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। আরেক সেশন টিকে গেলে হায়দরাবাদে ড্র-ও করতে পারত বাংলাদেশ। ম্যাচটা হারলেও মুশফিকদের লড়াই প্রশংসিত হয়েছিল। এবার ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জমিয়ে তুলেছিল।
সেই দলটা গায়ে সাদা পোশাক চাপিয়ে কেমন চুপসে গেল। এত বার সুযোগ পেয়েও প্রথম ইনিংসে করতে পারল কোনোভাবে ১৫০ রান। বাংলাদেশের এ কাঁপাকাঁপি দেখে ভারতীয় সাংবাদিকেরা বলতে শুরু করেছেন, ‘দাদা কি (সৌরভ গাঙ্গুলী) ইডেন টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে কোনো প্রোগ্রাম রাখছেন? রাখলে কিন্তু ধরা খেতে হবে! দুটো টেস্টই শেষ হবে তিন দিনে!’
প্রশ্নটা সেটাই। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দেখা গেছে ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’, ইন্দোর টেস্টে সেই তাঁদের কেন থর হরি কম্পমান দশা! অথচ টস জিতে কী ইতিবাচক আর সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। উইকেটে ঘাস আছে, হালকা আর্দ্র কন্ডিশনে প্রতিপক্ষ দলে দুর্দান্ত তিন ফাস্ট বোলার প্রথম দিনের সকালটা দুর্বিষহ করে তুলতে পারেন—সব জেনেও মুমিনুল ব্যাটিং নিয়েছেন। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘আমরা বোলিংই নিতে চেয়েছিলাম। তবে কঠিন কন্ডিশনে আমাদের ব্যাটিং করতে আপত্তি নেই।’
একাদশে সাত ব্যাটসম্যান নেওয়ার অর্থই বাংলাদেশের লক্ষ্য টেস্ট ড্র করা। অবশ্য ইন্দোর টেস্টের প্রথম দুই সেশনে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের যে ‘অ্যাপ্রোচ’ দেখা গেছে, তাতে ড্র ঠিক নয়, কোনোভাবে ম্যাচটা পাঁচ দিনে নিয়ে যাওয়াটাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। এখনো পর্যন্ত যতটুকু ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, তাতে পাঁচ দিন কেন এ টেস্ট চতুর্থ দিনেও যায় কিনা ঘোর সংশয়।
বাংলাদেশের একজন ব্যাটসম্যানকেও মনে হয়নি স্বচ্ছন্দে এগোতে পারছেন। অজিঙ্কা রাহানে আর বিরাট কোহলির মতো দুর্দান্ত দুই ফিল্ডারের হাত গলে চারটি ক্যাচ হাতছাড়া না হলে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ পার হয় না! একটা দলের বাজে দিন যেতেই পারে। তাই বলে শুরু থেকে সবার এক সঙ্গে কাঁপাকাঁপি! টেস্টে ভারতের পেস আক্রমণ এ মুহূর্তে বিশ্ব অন্যতম সেরা। তার ওপর আবার পছন্দের কন্ডিশন। বলেও মুভমেন্ট আছে। ধারাবাহিকভাবে ‘স্পট’ ডেলিভারি করছেন তাঁরা। লাল মাটিতে তৈরি শক্তি পিচে বল উঠছে। তাই বলে তাঁদের একেবারেই খেলা যাবে না? মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদবদের পড়াশোনা না করেই কি খেলতে নেমেছেন মুমিনুলরা? তাঁদের কীভাবে খেলতে হবে, সেটি তাঁদের অজানা? তবুও কেন এভাবে ঘাবড়ে যাওয়া!
ওপেনার ইমরুল কায়েসের পা চলছে না। বল খুব কাছে আসার পর ব্যাট চালাচ্ছেন। মোহাম্মদ মিঠুন বলের লাইন বুঝতে পারছেন না। এ কঠিন পরিস্থিতিতে মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হক বিপর্যয় সামলে কোনোভাবে এগিয়ে চললেন। কিন্তু সে চলাটাও হলো অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। মুশফিক পরিষ্কার সুযোগ পেলেন দুবার। তবুও ইনিংসটা ৪৩ রানের বেশি এগিয়ে নিতে পারলেন না। স্লিপে রাহানের হাতে মুমিনুল বেঁচে করতে পারলেন ৩৭ রান। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে তোলা ৬৮ রান বাংলাদেশের হতশ্রী ইনিংসের সামান্য উজ্জ্বল দিক। মাহমুদউল্লাহ রাহানের হাতে ‘জীবন’ পেয়ে এগোতে পারলেন না খুব বেশি দূর। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দৃষ্টিকটুভাবে সুইপ করতে গিয়ে আউট ১০ রানে।
ইন্দোর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট ১৫০ রানে। একটা দলের বাজে
দিন যেতেই পারে। তাই বলে দলের প্রায় সব ব্যাটসম্যান এভাবে কাঁপবেন!
বাংলাদেশের ইনিংস যদি এক বাক্যে বর্ণনা দিতে হয় বলতে হবে—ব্যাটসম্যানরা
উইকেটে গিয়েছেন, ভারতীয় বোলারদের সামনে কেঁপেছেন, তারপর ফিরে এসেছেন।
প্রতিপক্ষ ভীষণ শক্তিশালী। লড়াইটা এক নম্বর দলের সঙ্গে নয় নম্বরের। তাই বলে
এভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ! সবচেয়ে দৃষ্টিকটু লেগেছে বাংলাদেশের
ব্যাটসম্যানদের ভয়ার্ত মুখ।ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ আগেও টেস্ট খেলেছে। ২০১৭ সালের হায়দরাবাদ টেস্টে এ বাংলাদেশকে দেখা যায়নি। ভারতের রানপাহাড়ের ভালো জবাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। আরেক সেশন টিকে গেলে হায়দরাবাদে ড্র-ও করতে পারত বাংলাদেশ। ম্যাচটা হারলেও মুশফিকদের লড়াই প্রশংসিত হয়েছিল। এবার ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জমিয়ে তুলেছিল।
সেই দলটা গায়ে সাদা পোশাক চাপিয়ে কেমন চুপসে গেল। এত বার সুযোগ পেয়েও প্রথম ইনিংসে করতে পারল কোনোভাবে ১৫০ রান। বাংলাদেশের এ কাঁপাকাঁপি দেখে ভারতীয় সাংবাদিকেরা বলতে শুরু করেছেন, ‘দাদা কি (সৌরভ গাঙ্গুলী) ইডেন টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে কোনো প্রোগ্রাম রাখছেন? রাখলে কিন্তু ধরা খেতে হবে! দুটো টেস্টই শেষ হবে তিন দিনে!’
No comments