প্রখ্যাত
লেখক খুশবন্ত সিংয়ের লেখার একটি অংশ নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে আলোচনায়
এসেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ
গাঙ্গুলীর মেয়ে সানা গাঙ্গুলী।
ভারতের
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সারাদেশ যখন প্রতিবাদে মুখর তখন এই
অষ্টাদশী ইনস্টাগ্রাম পোস্টের জন্যে বেছে নিয়েছেন ২০০৩ সালে প্রকাশিত
খুশবন্ত সিংহের ‘দ্য এন্ড অব ইন্ডিয়া’কে।
সানার
উদ্ধৃত অংশে বলা হয়েছে: ‘‘প্রতিটি ফ্যাসিস্ট সরকারের একটি দল বা গোষ্ঠীর
প্রয়োজন হয়। নিজেদের স্বার্থে তারা ওই দল বা গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে
গিয়ে সেগুলোকে অশুভ শক্তিতে পরিণত করে। দু-একটি দল দিয়ে এটি শুরু হয়।
কিন্তু, তা কখনোই সেখানে শেষ হয় না। ঘৃণার উপর নির্ভর করে যে আন্দোলন, সেই
আন্দোলনে নিজেকে ধরে রাখতে তারা প্রতিনিয়ত ভয় বা দ্বন্দ্বের আবরণ তৈরি
করে।’’
সেই লেখায়
আরও বলা হয়েছে, ‘‘আজ যারা আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি, ভাবছি আমরা তো
মুসলমান বা খ্রিস্টান নই, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছি। সঙ্ঘ ইতোমধ্যেই
বামপন্থি ইতিহাসবিদ এবং পশ্চিমি সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী যুবসমাজকে তাদের
লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে। কাল তাদের ঘৃণা গিয়ে গড়াবে স্কার্ট পরিহিত নারী,
যারা মাংস খান, মদ্যপান করেন, বিদেশি সিনেমা দেখেন, প্রতিবছর তীর্থে যান
না, দাঁতনের পরিবর্তে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন, আয়ুর্বেদের বদলে এলোপ্যাথি
ওষুধ পছন্দ করেন, দেখা হলে ‘জয় শ্রী রাম’ বলার বদলে হাত মেলান বা চুম্বন
করেন, তাদের উপর। কেউ নিরাপদ নয়। ভারতকে বাঁচাতে হলে এগুলো আমাদের ভীষণভাবে
অনুধাবন করতে হবে।’’
দেশটির
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সানা এই উদ্ধৃতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সমালোচনা করেছেন।
ভারতীয়
গণমাধ্যম জানায়, সানার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত হচ্ছে।
অনেকের মন্তব্য, খুশবন্ত সিংয়ের লেখার মাধ্যমে সৌরভ-কন্যা সানা ভারতের
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছেন, তা প্রশংসনীয়।
কেউ আবার
সানার বয়সকে উল্লেখ করে লিখেছেন, রাজনীতি বোঝার জন্য অতি অল্প বয়স তার। তবে
তাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অন্যরা বলেছেন, ভারতে ভোট দেওয়ার বয়স ১৮ বছর।
সানার বয়স ১৮ পেরিয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
No comments