Breaking News

কিয়েভ দখলের দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া, বিজয় দেখছেন জেলেনস্কি

একটি স্যাটালাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ছাড়া মানুষের গাড়ির দীর্ঘ সারি। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি প্রধান শহর রুশ বিমান হামলায় প্রকম্পিত এবং রাজধানী কিয়েভে সর্বাত্মক হামলার জন্য ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া। এমন সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে 'একটি কৌশলগত টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছেছে'।

আজ শনিবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, 'এটা বলা অসম্ভব যে আমাদের মাতৃভূমি মুক্ত করতে আরও কত দিন লাগবে। তবে এটা বলা সম্ভব যে আমরা এটি করব।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে আমাদের লক্ষ্য, আমাদের বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।'

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ১৬তম দিনে রুশ বাহিনী দেশটির উত্তর-পূর্ব দিক থেকে কিয়েভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আজ সিএনএন, বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাদের বিশাল বহর কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কিয়েভকে প্রায় ঘিরে রেখেছে। পাশাপাশি হামলাও চালাচ্ছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজিসের চিত্রে দেখা গেছে কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুনের ছবি। ইউক্রেনের হোস্টোমেলের আন্তোনোভ বিমানবন্দরে আগুনের চিত্র দেখা গেছে।

আরেকটি স্যাটেলাইট চিত্রে ম্যাক্সার জানিয়েছে, আমরা কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে মোসচুনে বাড়িঘর জ্বলতে দেখেছি। স্যাটেলাইট কোম্পানিটির দাবি, ছবিতে রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে শহর জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলোও দেখা সম্ভব।

সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ও কামান নিয়ে কিয়েভের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে রুশ সেনাদের দেখা গেছে। কিয়েভের উত্তরে রুবিয়াঙ্কা শহরের কাছে রুশ সেনাদের দেখা গেছে। উত্তর–পূর্ব দিক থেকে রুশ সেনাদের একটি বহর রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে।

রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ স্পষ্টভাবেই বলেছেন, আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করবো না।

তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে 'নিষেধাজ্ঞা'র পাহাড় বড় করেই চলেছে দেশটি।

একের পর এক নিষেধাজ্ঞা যখন আসছে তখন রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা রোসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বিধ্বস্ত হতে পারে।

রোগোজিনের মতে, নিষেধাজ্ঞায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পরিষেবা দেওয়া রাশিয়ান জাহাজের কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে। এতে করে মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথ সংশোধন করতে সহায়তাকারী রাশিয়ান অংশ প্রভাবিত হতে পারে। তেমন হলে ৫০০ টন ওজনের কাঠামো পৃথিবীর ছিটকে এসে 'সমুদ্রে বা স্থলভাগে পড়বে'।

 

No comments